• ঢাকা
  • বৃহঃস্পতিবার , ১৭ জুলাই ২০২৫ , সকাল ০৬:৫৬
  • ২ শ্রাবণ, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / ফিচার

হৃদয়ের প্রতিবাদ: ফিলিস্তিন প্রশ্নে এক মুসলিম বোনের লেখা

রিপোর্টার : দৈনিক আলোর সকাল
হৃদয়ের প্রতিবাদ: ফিলিস্তিন প্রশ্নে এক মুসলিম বোনের লেখা ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ || ফিলিস্তিন—মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক ভূখণ্ড, যা ভূমধ্যসাগর ও জর্দান নদীর মাঝে বিস্তৃত। ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের পবিত্র ইহুদি প্রাণকেন্দ্র হলো জেরুজালেম। জন্মভূমি এই স্থানটি প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্ব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা এই তিনটি মহাদেশের সংযোগস্থলে অবস্থান করায় এর ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

ইসরাইলি হায়েনা নরপশু দুর্বৃত্তরা বর্তমানে ফিলিস্তিনে, গাজা-রাফায় যে গণহত্যার বিরল ইতিহাস রচনা করছে, তা কোনো রাজনৈতিক সংঘাত নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে এক নির্মম আঘাত। ঘনঘন বোমা বর্ষণ, নারী-শিশু ধর্ষণ, নিষ্পাপ শিশুদের আর্তনাদ, গর্ভবতী মায়ের অসহায় চাহনি এবং ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া স্বপ্ন—সবকিছু মিলে এক বেদনার প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন।

আমি আমার কলমে তুলে ধরেছি সেই অতীতের এক মূল্যবান মানবিক গল্প, যেখানে ধর্ম, জাতি কিংবা শত্রু-মিত্রতা ভুলে এক মুসলিম যোদ্ধা খ্রিস্টান বীরকে সুস্থ করে তুলেছিলেন কেবল মানবতার খাতিরে। সেই মানবিকতা আজ কোথায়? ফিলিস্তিনে অসহায় মাজলুম মানুষদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আজ আর কোনো মুক্ত হৃদয় নেই, নেই সেই দয়া, নেই সেই করুণা। আমরাও পাড় করেছি সেই সময় ভুলে গেছি সেই কালো অধ্যায় এর কথা না এখন ও ক্ষত শুকিয়ে যায় নাই শেখ "হাসিনা আমলে তার অত্যাচার হাজারও জনতা প্রাণ দিয়ে এই জয় লাভ করছি আমরা। আমরা সাময়িক কষ্ট করলেও আজ ফিলিস্তিনে ১ ঘন্টায় হাজারও ভাই বোনেরা মারা যাচ্ছে।  

আমি একজন মুসলিম এর সন্তান হয়ে প্রশ্ন রাখছি —একজন মুসলিম হয়ে আমাদের কী করণীয়? আমি আহ্বান জানাই — ১. শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর অনুরোধ—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইংরেজি ভাষা চর্চা করা জরুরি। কারন আমরা ইংরেজি কথা বলতে ভয় পাই। আমাদের মধ্যে জড়তা আছে আমরা সবার সামনে ইংরেজি কথা বলতে পারি না বা বলতে চাই না সেটা আমাদের চর্চা করতে হবে যেভাবে আমরা পাবলিকলি সবার সামনে বলতে পারি।

২. আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে। কৌশলী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।

৩. কেবল বয়কট নয়, তথ্যভিত্তিক সচেতনতা ছড়াতে হবে। কোন পণ্যে ইসরায়েলের স্বার্থ জড়িত, তা সকলকে জানাতে হবে।

৪. আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মানবিক মিশন পাঠানোর ব্যাপারে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি আমি ।

৫. সর্বোপরি, তিনি মনে করিয়ে দেন—আমরা মুসলিম, আমরা এক, আমাদের রক্ত এক। ফিলিস্তিনের এই বেদনা শুধু তাদের নয়, আমাদেরও।

গাজা শহরের প্রতিটি ধ্বংসস্তূপ, প্রতিটি মায়ের কান্না আর প্রতিটি শিশুর মুখ যেন আয়নায় দেখিয়ে দিচ্ছে মানবতার মুখ। আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না, আমরা চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না।

লেখাটি শেষ করছি এক আহ্বান দিয়ে—

“আর কতকাল দেখতে হবে ভাই-বোনদের লাশ? আর কতকাল বোমাবর্ষণের শব্দে কাঁপবে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন? এবার আমাদের জেগে উঠতেই হবে।”

প্রতিবাদী লেখনী: ফাইজা ইসলাম অনু


ফিচার

ক্যাম্পাস

আরও পড়ুন