• ঢাকা
  • বৃহঃস্পতিবার , ১৭ জুলাই ২০২৫ , ভোর ০৫:৫০
  • ১ শ্রাবণ, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ

শিবপুরে শ্রমিক লীগ নেতা ফজলু মৃধার নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি ৬০ বছরের বৃদ্ধা কারিমাও!

রিপোর্টার : দৈনিক আলোর সকাল
শিবপুরে শ্রমিক লীগ নেতা ফজলু মৃধার নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি ৬০ বছরের বৃদ্ধা কারিমাও! ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের পাড়াতলা গ্রামে শ্রমিক লীগ নেতা ফজলুল হক মৃধার নেতৃত্বে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি, যার মধ্যে রয়েছেন ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা কারিমা বেগম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক লীগ নেতা ফজলু মৃধা বর্তমানে দুলালপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার ভাই ইসমাইল মৃধা, ইসমাইলের ছেলে সৈকত মৃধা, ও ফজলুর ছেলেরা এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না।

গত ৮ মার্চ , (শনিবার) দুপুর ১:৩০ মিনিটে, গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ফজলু মৃধা ও তার সহযোগীরা সবুজ মিয়া নামে এক দোকানদারের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছিলেন—নূরে আলম মৃধা, নুর মোহাম্মদ মৃধা (উভয় ফজলু মৃধার ছেলে), ইসমাইল মৃধা ও তার ছেলে সৈকত মৃধা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবুজ মিয়ার মুদির দোকানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বেদম মারধর করা হয়। প্রাণে বাঁচতে সবুজ দৌড়ে বাড়ির দিকে গেলে হামলাকারীরা সেখানেও তাকে মারধর করতে থাকে এবং দাঁড়ি ছিঁড়ে ফেলে। সবুজের স্ত্রী মিনারা বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

এমনকি, পরিবারের ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা কারিমা বেগমকেও রেহাই দেয়নি সন্ত্রাসীরা। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং তার পড়নের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। হামলাকারীরা মিনারা বেগমের গলায় থাকা ৭০ হাজার টাকার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং সবুজ মিয়ার দোকান ও বাড়ি থেকে প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।ঘটনার পর ভিকটিম সবুজ মিয়া ন্যায়বিচারের আশায় বিজ্ঞ আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার খবর জানার পর সন্ত্রাসী চক্র উল্টো সবুজ মিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে সবুজ মিয়া ও তার পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এবং প্রাণনাশের হুমকির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনুক, যেন নিরীহ মানুষরা আর অত্যাচারের শিকার না হয়।


সারাবাংলা

আরও পড়ুন