স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে আহত হয়েছে। এ সময় আহতদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই গ্রামের ইছাক মল্লিকের স্ত্রী খায়রুন নেছা (৪৮) ও তাঁর ছেলে আমিন মিয়া (১৭)। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শ্রীপুর গ্রামের ইছাক মল্লিকের সাথে একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার দ্বন্দ্ব চলছিল। এর কয়েক দিন আগেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। সোমবার রাতে স্থানীয় শ্রীপুর বাজারের একটি কম্পিউটার এর দোকানে (মোবাইল মেমোরিতে গান তোলা হয় এমন দোকান) ইছাক মল্লিকের ছেলে আমিন মিয়া বসা ছিল। হঠাৎ করে বাচ্চু মিয়ার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-লাঠি নিয়ে আমিন মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা দোকানের একটি ল্যাপটপ ভাঙচুর করে ও কয়েকটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। পরে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে আমিন মিয়াকে প্রাণে রক্ষা করেন। বাজার থেকে আমিন মিয়া দৌড়ে বাড়িতে গেলে সেখানে গিয়েও হামলা করে বাচ্চু মিয়ার লোকজন। এসময় বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা। হামলাকারীরা আমিন মিয়াকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকলে মা খায়রুন নেছা তাকে বাঁচাতে আসেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর উপর হামলা চালালে গুরুতর আহত হন খায়রুন নেছা। পরে এলাকাবাসী আহত মা-ছেলেকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত খায়রুন নেছাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর রাতেই তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতদের স্বজনেরা জানান, পুর্ব শত্রুতার জেরে বাচ্চু মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মা-ছেলেকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারী বাচ্চু মিয়া ও তাঁর লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##