নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈশাখ মাস জুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলে ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় ধান তুলতে পেরেছে কৃষকরা হাসি মুখে। এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরে কৃষকদের নিয়ে ফসল কর্তন সমাপনী আনন্দ উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনির হাওর ফসল কর্তন সমাপনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ফসল কর্তন সমাপনী উৎসবে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসেম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) তাপস সীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুনজিত কুমার চন্দ,
জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও সাবেক তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুল হক, জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতীশ দর্শী চাকমা, তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক ও তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী, শ্রীপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
এ আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ড. ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, আকষ্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এ জেলার বোরো ফসল উত্তোলনে ঝুঁকিপূর্ন থাকলেও সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় হাওর অঞ্চলের বোরো ধান যথা সময়ে শতভাগ কর্তন সমপুন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, রবি মৌসুমে ২,২৩,৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের প্রায় ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। এই বাম্পার ফলন শুধু মাত্র সুনামগঞ্জ জেলার কৃষকদের জন্য নয় বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্যও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এ ধানের সঙ্গে কৃষক পরিবারের পুরো এক বছরের খাবার, সন্তানের লেখাপড়া, বিয়েশাদিসহ যাবতীয় ব্যয় জড়িত। তাই ধান গোলায় উঠলে কৃষক পরিবারে পুরো বছর আনন্দ থাকে। কোনো কারণে ধান না পেলে তাঁদের কষ্টের সীমা থাকে না। এবার কৃষকেরা ধান তুলত পেরে বেশ আনন্দিত হয়েছেন কৃষকরা।
অনুষ্ঠান শেষে কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে ছাতা ও শিশু-কিশোরদের মাঝে ফুটবল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।