তোফাজ্জল ইসলাম --- সুনামগঞ্জ থেকে
জাতীয় নির্বাচন এখন দেশের সর্বস্থরের জনগণের দাবি। একটি গণতান্ত্রিক সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রত্যাশায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে দেশের জনগণ তাকিয়ে আছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ পরিচালনা করা অনেক কঠিন। তাই নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি কয়ছর এম আহমেদ।
বুধবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৈয়দপুর , শাহারপাড়া ও আশারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় কয়ছর আহমেদ আরো বলেন , গত ১৭ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি তাই জনগণ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিএনপি নির্বচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। একটি দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এসময় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরো বলেন ,একটি আধুনিক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণ , স্বনির্ভর জাতি গঠনে
১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের কল্যাণে উপস্থাপন করেছিলেন ১৯ দফা কর্মসূচি। এটি ছিল এমন একটি কর্মপরিকল্পনা যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার পাশাপাশি একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ার প্রতিশ্রুতি বহন করেছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি জনগণকে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলেন।
১৯ দফা কর্মসূচি ছিল কেবল একটি রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, বরং জাতীয় উন্নয়নের একটি সুদূরপ্রসারী দিকনির্দেশনা। এটি আজও বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কৌশলের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
একই ধারাবাহিকতায় দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক উত্তরণে
যে সব বাধা জনগণের মেধা, শ্রম, উদ্যোগ এবং উৎসাহকে দমিয়ে দেয় সেগুলোকে দূর করে বিএনপি বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে ভিশন - ২০৩০ প্রণয়ন ককরেছেন। খুনি হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক দেশ পরিচালনার ১৭ বছরে রাষ্ট্র কাঠামো যখন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে ঠিক তখনই আগামীর রাষ্ট্রের নতুন সংস্কারের প্রয়োজন মনে করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ জনগণকে উপহার দিতে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রণয়ন করেন। ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মূল উপজীব্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি, আইন, প্রশাসন এবং নাগরিক অধিকার সংস্কারের মাধ্যমে একটি জনগণের রাষ্ট্র গঠন। এতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের স্বাধীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন, ও পেনশন প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আজকে যাঁরা সংস্কারের দাবিতে গলা ফাঠাচ্ছেন সে সংস্কার তারেক রহমান তাঁর দূরদর্শী চিন্তাধারার মাধ্যমে ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ৩১ দফার মাধ্যমে জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছেন। ৫ ই আগস্টের পর নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় মেরামতে ৩১ দফার বাহিরে আর কিছুই হতে পারেনা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচন হলে জনতার ভোটে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে গণমানুষের প্রত্যাশিত দেশ গঠনে ৩১ দফার প্রতিটি দফা বিএনপি বাস্তবায়ন করবে , এটি শুধু আমার আপনার অঙ্গীকার নয় এটি দেশ নায়ক তারেক রহমানের অঙ্গীকার ও স্বপ্ন। তাই আসুন সবাই মিলে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে তারেক রহমানের স্বপ্ন ৩১ দফাকে পৌঁছে দেই।
সভা শেষে এলাকার ঘরে ঘরে বিএনপির ৩১ দফা বিতরণ করেন তিনি।