ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
মো:শফিকুল ইসলাম মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে দাখিল সমমান পরীক্ষা নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী পরীক্ষার অংশ নেয় , স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষা চলতেছে ,
১৫ তারিখ আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার পর ১৭ তারিখ গণিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের কাছে উপস্থিত হয়ে নকলের অফার করে, ২০০ টাকা দিলে প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের কাছে ৩০ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর পৌঁছে দিবেন, এবং যারা টাকা দিতেও স্বীকৃতি জানিয়েছে তাদেরকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়, ছাত্ররা একপ্রকার বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষককে ২০০ টাকা দিতে বাধ্য হয় ।
এমনকি প্রধান শিক্ষক ছাত্রদেরকে এমন ভাবে আশ্বস্ত করেন যে আমি উত্তর সাপ্লাই দেওয়ার আগ পর্যন্ত তোমরা প্রশ্নের উত্তর লেখবা না এমনকি mcq এর স্যাড গ্রুপ পর্যন্ত লিখবানা আমি তোমাদেরকে উত্তর দেওয়ার পরেই তোমরা তা লিখবা,
প্রধান শিক্ষকের কথামতো ছাত্ররা চুপচাপ পরীক্ষার হলে অবস্থান করে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি এমনভাবে পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যায় কিন্তু তাদের খাতা সাদা থাকে ,
এই সিচুয়েশনে ছাত্ররা বাসায় ফিরে আহাজারি করে,
এমনকি প্রধান শিক্ষক তাদেরকে হুমকি দেয় টাকা লেনদেনের বিষয়টি যদি তারা কাউকে অবগত করে তাহলে তাদেরকে হয়রানি করবে এমনকি মারধরে হুমকি দেয়, ছাত্ররা কিছুদিন চুপ থাকলেও পরীক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠানে ফিরে শিক্ষকের কাছে জানতে চায় নকল সাপ্লাই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিও কেন উনি দেননি, তারা ফেল করবে তাদের ছাত্র জীবন ধ্বংসের মুখে ,
এমতাবস্থায় প্রধান শিক্ষক টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকৃতি জানাই এমন কি প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও উনি অস্বীকার করেন এবং ছাত্রদেরকে হয়রানির হুমকি দেয়।
মে মাসের ২০ তারিখ ছাত্র অভিভাবক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলাকার মুরুব্বিয়ান নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন , সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক অবস্থায় প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করলেও তুপের মুখে পরবর্তীতে তা স্বীকার করে নেয় এমত অবস্থায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রধান শিক্ষক এর পদত্যাগের দাবি তোলেন,, পরিস্থিতি অবনতি হলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব নেন এবং দ্রুত তার সমাধানে আশ্বস্ত করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে বাসায় ফিরে যেতে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক আলোর সকলকে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।