• ঢাকা
  • বৃহঃস্পতিবার , ১৭ জুলাই ২০২৫ , সকাল ০৭:০৬
  • ২ শ্রাবণ, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ

নড়াইলের মাইজপাড়া গরু হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের দায়ে ৫০,হাজার টাকা জরিমানা।

রিপোর্টার : দৈনিক আলোর সকাল
নড়াইলের মাইজপাড়া গরু হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের দায়ে ৫০,হাজার টাকা জরিমানা। ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।

নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া গরুর হাটে সরকারি নির্ধারিত হারের বাইরে অতিরিক্ত ইজারা আদায় এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি সতর্কবার্তা অমান্য করে অর্থ আদায় অব্যাহত রাখার অভিযোগে এক ইজারাদারকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫০,হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে শুধু চাঞ্চল্যের নয়,বরং প্রশাসনিক কাঠামোর কার্যকারিতা এবং জনগণের ওপর প্রভাব নিয়েও ভরসার সৃষ্টি করেছে।

৩০মে শুক্রবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে নড়াইল সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল মাইজপাড়া হাটে নিয়মিত নজরদারির সময় দেখতে পায়, ১ ইজারাদার সরকারি নির্ধারিত হারের বাইরে অতিরিক্ত ইজারা আদায় করছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি এস এম শামসুজ্জামান খোকন (৫০), রূপগঞ্জ বাজার, নড়াইল সদর এলাকার বাসিন্দা। তিনি গরুপ্রতি ১,হাজার থেকে ১৩ শত টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। অথচ সরকারি হার অনুযায়ী গরুপ্রতি ইজারা ৬০০ টাকা এবং ছাগলপ্রতি ২০০ টাকা নির্ধারিত আছে।

এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি অনুমোদিত হার অনুযায়ী ইজারা আদায় করছেন—যেখানে এক লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের গরুর জন্য টাকা ১,হাজার টাকা এবং নিচে হলে ৫শত টাকা আদায়ের অনুমতি রয়েছে।

 তবে তিনি কোনো লিখিত অনুমতি বা হার তালিকা দেখাতে পারেননি।

অন্যদিকে স্থানীয় খামারি ও হাট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন এবং আদায়ের পর কোনো রশিদ বা প্রমাণপত্রও দেন না।

এসময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে ঘটনাস্থলেই মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয় এবং অননুমোদিত অর্থ আদায় বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর সেনাবাহিনীর টহল দল এলাকা ত্যাগ করে। এরপর মাত্র ১০–১৫ মিনিট পরেই স্থানীয় সূত্র থেকে আবার ও খবর আসে যে, অভিযুক্ত ইজারাদার পূর্বের মতোই অতিরিক্ত অর্থ আদায় শুরু করেছেন।

সেনাবাহিনী পুনরায় হাটে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নিজে উপস্থিত থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এবং সরকারি আদেশ অমান্য ও অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের দায়ে অভিযুক্তকে ৫০,হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে তার ইজারা বাতিলের বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বর্তমানে ইজারা বাতিলের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

এই ঘটনার পর হাটের সাধারণ বিক্রেতা, খামারি ও স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভয় ও হয়রানির মধ্যে ইজারাদারদের মুখোমুখি হচ্ছিলেন, কিন্তু কেউ সাহস করে মুখ খুলতে পারছিলেন না বলে ও জানা গেছে,


নড়াইল

আরও পড়ুন